ছাত্রাবাস থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার!! স্বামী পলাতক

ছাত্রাবাস থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার!! স্বামী পলাতক
নওগাঁয় হাত বাধা অবস্থায় গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার!! স্বামী পলাতক
নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহারে সুমি আক্তার (১৭) নামে এক কিশোরী গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার সন্ধায় উপজেলা সদরের মাস্টারপাড়া এলাকার মাতৃছায়া নামক একটি ছাত্রাবাসে ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত গৃহবধূ পত্নীতলা উপজেলার দিবর উত্তরপাড়া গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে ও সাপাহার উপজেলার উত্তর পাতাড়ী গ্রামের সেলিমের স্ত্রী।
স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উত্তর পাতাড়ী গ্রামের তফিজুল ইসলামের ছেলে সেলিম (২৫) এর সাথে প্রায় ৯মাস আগে সুমির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সেলিম সুমিকে নিজের গ্রামের বাড়ীতে রাখে। আর তার স্বামী সেলিম উপজেলা সদরের মাস্টারপাড়া এলাকায় মাতৃছায়া নামক এক ছাত্রাবাসে থেকে চাকুরী করত। মাঝে মাঝে সেই ছাত্রাবাসে তার স্ত্রীকে নিয়ে আসতো বলে জানান স্থানীয়রা। নিহত সুমির বাবা জানান, গত ২২জুন মঙ্গলবারে তাদের কোন এক আত্মীয়ের মৃত্যু হলে তার বাবা মেয়েকে জামাইয়ের গ্রামের বাড়ী থেকে সেই মৃত আত্মীয়ের বাড়ী নিয়ে যায়।
ঘটনার দিন বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সুমির বাবা তার মেয়েকে জামাইয়ের বাড়ী পৌঁছে দেয়ার জন্য সাপাহার সদরের জিরো পয়েন্টে আসে। সেখান থেকে তার জামাতা সেলিমের সাথে তার মেয়েকে পাঠিয়ে দেয়। এসময় সেলিম তার স্ত্রীকে নিয়ে মাতৃছায়া ছাত্রাবাসে আসে। হঠাৎ সন্ধ্যার দিকে সেলিম তার শ্বশুরকে মোবাইল ফোনে জানায়, ছাত্রাবাসে তার স্ত্রী সুমি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে তার শ্বশুরের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে আসে। এসময় কৌশলে সেলিম সেখান থেকে সটকে পড়ে। ঘটনার খবর জানতে পেরে সন্ধ্যায় সাপাহার থানা পুলিশ ঘটনাস্থল হতে সুমির বাম হাত সুতলি দড়ি দিয়ে বাধা এবং গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম এ, মামুন খান চিসতি (প্রশাসন), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান (ক্রাইম) এবং সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাপাহার সার্কেল বিনয় কুমার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ তারেকুর রহমান জানান, এ ঘটনায় থানায় এক‌টি মামলা দায়ের হয়েছে এবং মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
বিকাশ চন্দ্র প্রাং
নওগাঁ

আপনি আরও পড়তে পারেন